" দীপা – আমার বোন পর্ব ১

দীপা – আমার বোন পর্ব ১

 

#চটি গল্প -‌ ১৫৪




পূঁজোর ২য় দিন। আব্বু বাংলাদেশ চলে যাবে এই মুহুর্তেই আব্বুর শরীর খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। কয়েকবার জ্ঞানও হারিয়ে ফেলে! আমরা সবাই মনে করেছিলাম হার্ট এট্যাক। অতিরিক্ত ম*দ পান ও তেলের ভাঁজা খেয়ে প্রচন্ড গ্যাস হয়েছিলো, তিন দিন হাসপাতালে থেকে ভালো হয়ে পরে বাংলাদেশে চলে যায়।


আমাদের সবার মন মরা অবস্থা ছিলো। পূঁজো শেষ! মানুষ আবার নিজের নিজের কাজে ফেরত গিয়েছে। আমি সকালে প্রায় ১১ টায় নাস্তা সেরে বিছানায় শুয়ে আছি। দীপা পাগলের মতো দরজায় ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে আমার পেটের উপর বসে যায় আর চিৎকার করে বলে- আমার ভিসা হয়ে গেছে! আমার ভিসা হয়ে গেছে!


আমি কিছু বোঝার আগেই দীপা আমার গালে গলায় চুমাতে থাকে, একসময় আমার ঠোঁটে ঠোঁট নিয়ে একদম প্রেমিকের মতো চুমাতে শুরু করে। আমি দীপা কে ছাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু দীপা আবার আমার বুকে বসে আনন্দ প্রকাশ করে।


তখন আমি দীপাকে বলি- তোর কি হুঁশ আছে?


কারন দীপা যখন মোবাইলে ভিসার টেক্সট পায় তখন দীপা যে অবস্থায় ছিলো সেই অবস্থায় ই আমার রুমে চলে আসে। দীপার পরনে শুধু একটি প্যা*ন্টি আর বুক খোলা গাউন, নিচে ব্রা* নেই। দীপার 34 সাইজের সুন্দর দুটি দু*ধ খাড়া হয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে।


দীপা নিজেও ব্যাপারটা আন্দাজ পেয়ে তাড়াতাড়ি নিজের বুক ঢেকে নিয়ে বলে- দাদা আমি অত্যন্ত দু:খিত, আমার খুশিতে হুঁস ছিলো না!


এই বলে দীপা আমার উপর থেকে নেমে খুব তাড়াতাড়ি বাহির হয়ে যায় রুম থেকে।


দীপা দরজার কাছে যেতেই আমি বলি- এই দীপা কংগ্রেচুলেশন।


দীপা থ্যাংকস বলে আমার দিকে না তাকিয়েই বাইরে চলে যায়।


আম্মু সিদ্ধান্ত নেয় দীপার ভিসা পাওয়ার উপলক্ষে আজ আমরা বাহিরে খাবো। সারাদিন আমি আর দীপাকে কোথাও দেখতে পাইনি! সন্ধায় মা, দীপা, রুপালী দিদি খুব সুন্দর করে সেঁজে, পরিপাটি শাড়ি পড়ে আমরা বাহিরে খাবার খেতে যাই। খাবার খেয়ে জামাইবাবু নিজের পকেট থেকে টাকা পরিশোধ করে আমরা বাড়ি চলে আসি।


অনেক রাত অবধি আমরা গল্প করি। প্রায় বারোটার দিকে আমরা যার যার ঘরে শুতে যাই।


দীপা রাত একটার সময় আমার ঘরে আসে। আগের সেই শাড়িটাই পরে আছে দীপা!


দীপা আমার বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে বলে- দাদা তুমি কি আমার উপর রেগে আছো?


আমি উত্তর দেই- কই না তো।


দীপা বলে- আজ ডিনার করতে গেলাম অথচ একবারও তুমি আমার সাথে ভালো করে কথা বলোনি, এতো সুন্দর একটা শাড়ি পড়ে গেলাম একটু কমপ্লিমেন্ট ও করলেনা!


আমি বলি- ও আচ্ছা। এজিউজুয়াল খুব সুন্দর লাগছে। বেশি কিছু বললে তুই পাগল হয়ে যাস, যা ঘুমা গিয়ে এখন!


দীপা বলে- হ্যাঁ চলে যাবো। কালকে আম্মু, দিদি, জামাইবাবু দের বাড়ি যাচ্ছে, তুমারো যাওয়ার কথা কিন্তু তুমি যেতে পারবে না ওকে? যে কোনো একটা অজুহাতে থেকে যাবে। আমরা একদিন পরে যাবো। আমার একটা কাজ আছে তোমাকে লাগবে।


আমি বলি- যদি আম্মু রাজি না হয় আমাকে নিয়েই যেতে চায় তাহলে?


দীপা বলে- না তুমি যাবে না! বলবে কাজ আছে। তোমার জন্যে সোনালী আসবে।


আমি বলি- লোভ দেখাচ্ছিস নাকি?


দীপা বলে- আমি জানি তুমি ভেতরে ভেতরে ব্রাউন সু*গার খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে আছো। এই বাসাতেই নিয়ে আসবো চিন্তা করোনা!


আমি বলি- তোর কি লজ্জা করে না! এই বাসায় তুই থাকবি আর আমি এগুলি করবো?


দীপা বলে- দাদা তাহলে তুমি রাজি, কালকে যাচ্ছো না?


আমি বলি- তুই সিউর সোনালী আসবে? আর তুই কোথায় থাকবি তাহলে?


দীপা হাসি দিয়ে আমাকে বলে- তুমি যদি চাও আমি পাশে বসে বসে দেখবো!


আমি রেগে গিয়ে দীপাকে থাপ্পর দিতে যাই আর দীপা চলে যায়।


যেতে যেতে বলে- রেডি থাকো আগামীকাল খেলা হবে!


পরের দিন আমি আর আম্মুদের সাথে যাইনি। ওরা সবাই চলে গেছে, পরের দিন আমি আর দীপা যাবো বলে কথা দিয়েছি।


বিকাল ৩ টায় ওরা চলে যাওয়ার পর দীপা আমার কাছে এসে বলে- তুমি রেডি হয়ে নাও আমরা বাহিরে যাবো রাতে খাবো। রাত 10 টায় সোনালী আসবে বাড়িতে!


এই বলে কয়েক মুহুর্তেই দীপা একটি জামদানী শাড়ি পরে ঠিক পরীর মতো সেঁজে হাজির।


দীপা বলল- চলো দাদা আজ আমি আর তুমি।


আমরা ভালো একটা চাইনিজ ফুডে ডিনার করে বসে বসে ওয়াইন পান করছি।


দীপা আমার দিকে চেয়ে বলে- দাদা তুমি কি মনে মনে অপেক্ষা করছো সোনালীর জন্য? চলো বাড়ি যাই অনেক রাত হলো, আর আমি একটু টয়লেট থেকে আসছি তুমি অপেক্ষা করো।


টয়লেট থেকে দীপা ফেরত আসতেই ওয়েটার বিল দিয়ে চলে যাচ্ছে তখন আমি ডাক দিলাম টাকা নিয়ে যাবার জন্য।


ওয়েটার ঘুরে বলল- দাদা, বউদি কাউন্টারে টাকা দিয়ে এসেছে।


আমি দীপার দিকে তাকালে দীপা হাসি দিয়ে বলে- হ্যাঁ আমি দিয়ে দিয়েছি।


ওয়েটার চলে যাচ্ছিলো তখন দীপা তাকে আবার ডাক দেয় আর বলে- দাদা দাঁড়ান, আপনার বউদি বিল দিয়েছে আর জামাই বাবু বকশিস দিবে।


দীপা মুচকি হাসি দিয়ে আমাকে বলল- দাও দাও বেশি করে দাও।


আমি বাহিরে এসে দীপাকে বলি- তুই আবার বউদি হলি কবে?


দীপা উত্তর দেয়- আরে রাখোতো দাদা, আমাদের আর কে চিনে? মজা করলাম! চলো সিনেমা দেখি।


আমি দীপাকে না বলে সামনে একটা টেক্সিকে জিজ্ঞেস করি যাবে নাকি?


দীপা এসে টেক্সি ড্রাইভারকে বলে- দাদা আমরা এখন যাবো না, সরি।


এটা বলে দীপা আমাকে একটু দূরে নিয়ে বলে- দাদা আমি কখনো ক্লাবে যাই নাই, দেখার খুব শখ তুমি নিয়ে যাবে?


আমি বলি- শুনেছি কলকাতার সব খারাপ মানুষ যায় এই সব জায়গায়!


দীপা বলে উঠে- না দাদা, এইপাশে একটা ক্লাব আছে বিদেশীরা যায়। তুমি বিদেশী নাগরিক আমাকে সাথে নিয়ে যেতে পারবে, শুধু দেখেই চলে আসবো, প্লিজ দাদা।


আমি বললাম- আচ্ছা চল মদ খাবো না, কোনো প্রকার অসুবিধা হলে মান সম্মান যাবে!


দীপা খুব খুশি হয়ে যায়! ক্লাবে গিয়ে আমাকে অনেক ভাবে প্রমান করতে হলো যে আমি কানাডিয়ান নাগরিক। ব্যাংক কার্ড আর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলো সাথে সেটাই দেখালাম। খাতায় এন্ট্রি করতে হয়, দীপা লেখা পুরন করে সম্পর্কের জায়গায় আবার আমরা স্বামী স্ত্রী লিখে দিলো।


আমি ক্লাবের ভেতরে যেতে যেতে আস্তে করে দীপাকে জিজ্ঞেস করি- স্বামী স্ত্রী লিখলি কেনো?


দীপা বলে- কি যে বলো দাদা, তাহলে কি স্বামী স্ত্রী না লিখে দাদা বোন লিখে দিতাম নাকি? তুমি নিজেও এই সম্পর্কের মতই ব্যাবহার করো।


এই কথা বলে দীপা আমার হাতে হাত দিয়ে আবার বলে- ধরো, বউয়ের হাত ধরে চলতে হয়!


ক্লাবে কিছুক্ষন থাকার পর আমি দীপাকে বলি- চল যাই ভালো লাগছে না, কানাডায় গেলে অইখানে ক্লাবে নিয়ে যাবো।


দীপারও তেমন ভালো লাগে নাই এইখানে, বুঝলাম। ক্লাব বলতে ভদ্র ক্লাব হালকা নাচ টাচ হয়।


রাত একটায় আমরা বাড়ি চলে আসি। ঘরের দরজা বন্ধ করতেই দীপা আমাকে জড়িয়ে ধরে।


দীপা নিজের বুকটা আমার বুকে একটু বেশী চাপ দিয়ে আমার মুখের খুব কাছাকাছি নিজের মুখ এনে বলে- দাদা ধন্যবাদ আজ রাতের জন্যে।


আমিও মায়া করেই বলি- অনেক দিন পর দেশে এসেছি, আমার নিজেরো খুব ভাল লাগছে। স্পেশালি তুই সেই ছোট্ট দীপা আজ অনেক বড় হয়ে গিয়েছিস।


দীপা বলে- জানো দাদা আমি কতদিন তোমার জন্যে অপেক্ষা করে আছি! দাদা আসলে এই ভাবে সময় কাটাবো, অই ভাবে সময় কাটাবো। তুমি দেশে আসছো জেনেই আমিও কানাডা যাওয়ার প্লান করি।


দীপা মুক্তা ছড়ানো মিষ্টি হাসি দিয়ে আবার বলে- তুমি কি ক্লান্ত? এখন ঘুমাবে নাকি কিছুক্ষন বসবে?


আমি বলি- তাহলে চল সোফায় গিয়ে কিছুক্ষন বসি।


দীপা আবার হাঁসি দিয়ে চোখে কিছুটা দুষ্টমির ভাব নিয়ে আমাকে বলল- আমি কি শাড়িটা পাল্টাবো নাকি শাড়িতেই থাকবো?


আমিও কোনো কিছু চিন্তা না করে বলি- থাক শাড়ি অসুবিধা কি?


দীপা আবার নেশাতুর চোখে আমার দিকে চেয়ে বলে- আমি জানি তুমার আমাকে শাড়িতে দেখতে ভালো লাগছে! আমি যতোবার শাড়ি পড়ি ততোবার তুমি ঘুরঘুর করে আমাকে দেখো।


দীপার কথা শুনে আমি লজ্জা পেয়ে চোখ ঘুরিয়ে নেই।


দীপা আমার থুতনিতে ধরে মুখটা ঘুরিয়ে আমার মুখের কাছে নিজের মুখ এনে বলে- দাদা আমার নিজেরও ভালো লাগে তুমি যখন আমাকে দেখো! আচ্ছা দাদা কানাডায় শাড়ি পাওয়া যায়?


আমি হ্যাঁ বলতেই দীপা আমার গালে চাপ দিয়ে বলে- আমি কানাড়ায় গেলে তুমি তোমার পছন্দ মতো শাড়ি কিনে দিবে আমাকে আর আমি সেটা পড়ে তোমার সাথে ঘুরে বেড়াবো।


আমি বলি- আমার জন্যে কেনো? আর কানাডায় মানুষ শাড়ি পরে চলাফেরা করে না।


দীপা বলে উঠে- অসুবিধা নাই দাদা, আমি বাসায় শাড়ি পরবো তুমি দেখবে। চলো সোফায় গিয়ে বসি।


এই বলে দীপা আবার একটা হাগ দেয় আমাকে আর খুব শক্ত করে ধরে রাখে।


আমি বলি- দীপা এই ভাবে টাইট করে ধরছিস কেনো?


দীপা বলে- জানি না দাদা, আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে গত ১০ বছরের ভালবাসা তোমার কাছ থেকে আদায় করে নেই, কতো দিন অপেক্ষা করেছি তুমি আসবে!


এই কথা বলে দীপা আমার ঠোঁটে একটা চুমু দিয়ে দেয় আর বলে- চলো।


সোফায় গিয়ে আমরা পাশাপাশি বসি। দীপা কয়েকটি সেল্ফি তুলে আর বলে- দাদা সম্পর্ক কি জিনিস, তুমি আমার দাদা না হলে তোমাকেই আমি বিয়ে করতাম!


আমি বলি- শুধু তুই করলেই হবে? আমার পছন্দ দরকার পরতো না?


কথাটা বলে আমি হাসলাম!


দীপাও এক চোখ টিপ মেরে বলে- আমার চেয়ে ব্রাউন সু*গার তুমি কোথায় পেতে বলো?


আমি জিজ্ঞেস করি- সোনালী কই?


দীপা বলে- ও আসবে না আজ, না করে দিয়েছি। দাদা কিছু বললে নাতো? আমার চেয়ে সুন্দরী তুমি পেতে নাকি?


আমি বলে ফেলি- তুই আসলেই গর্জিয়াছ। তুই আমার বোন না হলে আমিই মনে হয় পাগলের মতো প্রেম নিবেদন করতাম তোকে!


দীপা বলে উঠে- আর আমিও এক লাফে তোমাকে জড়িয়ে ধরতাম, নিজেকে নিবেদন করতাম, একদম খেয়ে ফেলতাম তোমায়!


আমিও ফান করে বলি- প্রেমিককে খেয়ে ফেললে কি করে হবে?


দীপা চোখ তুলে আমার চোখে চোখ রেখে মুচকি হাসি দিয়ে বলে- তোমার মতো প্রেমিক সারাজীবন খেলেও শেষ হবে না আর আমারও তৃপ্তি যাবে না শুধু খেতেই ইচ্ছা করবে!


আমি বলি- তুইও কি আর কম যাস নাকি? যে কোনো পুরুষ তোকে মাথায় তুলে রাখবে!


দীপা বলে- দাদা কি যে বলো, সেই ব্যাটার মাথা আমি খেয়ে ফেলবো না? মাথায় রাখবে কেনো? নরম বিছানায় ফেলে আমার উপর উঠে ভালবাসবে! তুমি কি তোমার প্রেমিকাকে মাথায় তুলে রাখবে নাকি?


আমি বলি- সেটা একটা কথার কথা।


দীপা একটু রাগ করে বলে- ভাগ্যিস আমি তোমার প্রেমিকা না!


আমি বলি- তোর কি মনে হয় আমি আমার প্রেমিকাকে সত্যিই মাথায় নিয়ে ঘুরবো?


দীপা আমাকে প্রশ্ন করে- আচ্ছা দাদা তুমি কি মাইল্ড নাকি স্পাইসি পছন্দ করো?


দীপার কথা আমি বুঝতে পারি নাই! সত্যিই বুঝি নাই।


দীপা হেসে দেয় আর বলে- এই সহজ কথাটাও বুঝো নাই? এতো দিন কানাডা থেকে কি শিখেছো? মাইল্ড হলো ধীরে ধীরে আস্তে আস্তে আর স্পাইস হলো ধুমরে মুচড়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে রাক্ষসের মতো খাওয়া।


আমি দীপার দিকে হা করে চেয়ে থাকি আর বলি- সময় এবং পার্টনার যা চায় তাই, তবে স্পাইস আমার পছন্দ।


(আমাদের কথোপকথন অন্য রুপ নিচ্ছে)


দীপা চট করে বলে- আমারও স্পাইস ওয়াইল্ড সে*ক্স পছন্দ! সে*ক্সের পরের দিনো যদি শরিরে একটু আধটু ব্যথা না থাকে তাহলে কিসের সে*ক্স?


আমি দীপাকে বলি- দীপা তুই কিন্তু বাজে শব্দ ব্যাবহার করছিস!


দীপা বলে- বাহ! কি যে বলো, সে*ক্সকে যদি বাংলায় বলি তাহলে আরো বাজে শুনাবে।


আমি বলি- আমাদের সম্পর্কে এই শব্দ যায় না।


দীপা বলে- যায় না বলেইতো আমরা এতোক্ষন কিছু করছি না! দাদা সত্যি করে বলোতো আমি তোমার বোন না হলে এতোক্ষন বসিয়ে রাখতে? আমার গায়ে শাড়ি থাকতো?


আমি বলি- সেটা সময়ে বোঝা যেতো!


দীপা বলে উঠে- জ্বী না দাদা, আমি নিজেই আমার আঁচল খুলে দিতাম আর এতক্ষনে তুমিও হাঁপাতে বসে বসে! ইস আমার শাড়িটার যে কি অবস্থা হতো সেটাই ভাবছি!


আমি বলি- আমাকে এতো দূর্বল মনে করিস নাকি যে আমি হাঁপাতাম?


দীপা হাসতে হাসতে বলে- দাদা তুমি না হাঁপালেও আমি ঠিক হাঁপিয়ে তুলতাম তোমায়!


আমি বলি- আমাকে হাঁপানো এতো সহজ না, বরংচ তোর ই আগামীকাল হাঁটতে অসুবিধা হতো!


দীপা বলে- দাদা আমি কিন্তু সাদা মিল্কি মেয়ে না, আমি ব্রাউন সু*গার! এতো সহজ মনে করিও না, আমাকে সারা রাতে কিছুই করতে পারবে না।


এই কথা বলে দীপা আমার উরুতে হাত দিয়ে ভালো করে চাপ দেয় আর আমার চোখে চোখ রেখে আবার বলে- যদি তোমার চ্যালেঞ্জটা রাখতে পারতাম তাহলে দেখতে আমি কে!


আমি দীপার উরুতে হাত দেই আর বলি- এইবার রুমে গিয়ে শুঁয়ে যা তোর মাথায় রাগ চেপেছে!


দীপা বলে- কেনো দাদা শুধু কি আমার চেপেছে? তোমার নয় কি? ঠিক আছে চলো!


এই বলে দীপা দাঁড়ায়, আমিও দাঁড়াই।


দীপা আমার মুখের কাছে মুখ এনে, আমার বগল তলিতে হাত দিয়ে আমার চোখে চোখে রেখে আবার বলে- Don't Underestimate Come Brown Girl...!


আমিও দীপার পিঠে হাত নিয়ে আলিঙ্গন করে বলি- তুই সত্যি একটা দেবী! সত্যিই আমি তোকে অনেক শাড়ি কিনে দিবো। সবসময় শাড়ি পরে আমাকে দেখাবি আর আমি প্রানভরে দেখবো তোর সৌন্দর্য।


দীপা আমাকে আরো শক্ত করে ধরে আস্তে করে বলে- তাহলে যাচ্ছো কেনো? বাড়িতে কেউ নেই প্রানভরে দেখো!


আমি বলি- আজ আর কতো দেখবো অনেক দেখেছি, তুইতো কানাডা যাচ্ছিস কনফার্ম।


দীপা বলে- কানাডায় কেনো? এখানে কি হয়েছে? আজকের এই শাড়িটা আমি স্পেশালি তোমার জন্য রেখে দিয়েছিলাম। সত্যি করে বলো তোমার ভালো লেগেছে?


আমি বললাম- সত্যি বলতে আসলেই আমার খুব ভালো লেগেছে, মাঝে মধ্যে মনে হয়েছে সত্যি সত্যিই তুই আমার প্রেমিকা!


দীপা বলে- আমরা বাহিরে গিয়েছি, ক্লাবে গিয়েছি, আমি কিন্তু তোমার প্রেমিকা হিসাবেই গিয়েছি! বহুদিন পর মনে হয়েছে আমি একটা হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে ডেটিং করছি!


দীপার সাথে কথা বলতে বলতে আমার হাত ধীরে ধীরে কখন যে দীপার পা*ছায় চলে যায় আমি বুজতেই পারি নাই! আমি দীপার পা*ছায় চাপ দিয়ে দীপাকে আমার আরো কাছে নিয়ে আসি আর বলি- ভগবান তোকে অনেক সুন্দর করে গড়েছে।


আমার চোখে চোখ রেখে দীপা বলে- তোমার বাহুতে আমি খুব নিরাপদ অনুভব করছি। দাদা একটা আবদার করি? আমাকে একটা কিস দিবে তোমার প্রেমিকার মতো করে?


আমি বলি- ধুর পাগলামি করিস না!


দীপা বলে- দাদা প্লিজ দাও! প্লিজ।


আমি তখন বলি- তুই না আগেও দিয়েছিস? আর না।


দীপা বলে উঠে- তোমার হাতটা দিয়ে আর একটা চাপ দাও প্লিজ!


এইবার আমার মনে পড়ে আমি দীপার পা*ছায় হাত দিয়ে রেখেছি! আমি একটু লজ্জা পেয়ে হাত সরিয়ে নিচ্ছি...


দীপা সেটা বুঝতে পেরে তারাতারি নিজের হাত দিয়ে আমার হাত ধরে আবার ওর পা*ছায় নিয়ে যায় আর বলে- দাদা ভালো লাগছে সড়াচ্ছো কেনো? এই সুযোগ আর পাবে না বাড়িতে মানুষ চলে আসবে।


আমি গাধার মতো বলি- আমার রুমে কি মানুষ সবসময় বসে থাকবে নাকি?


দীপা বলে- আচ্ছা এই কথা! তাহলে আমি তোমার রুমে গেলেই হাত দিবে তাই না? আবার হাত দিলে কিন্তু আমি তোমার ঠোঁট কাঁমড়ে দিবো।


এই বলেই দীপা আমার ঠোঁটে কামড় দিয়ে দেয়, আবার নিজেই জিজ্ঞেস করে- দাদা ব্যথা পেয়েছো?


আমি বলি- রাক্ষসের মতো কামড় দিলেতো ব্যাথা পাবোই।


দীপা আবার চট করে আমার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে মোলায়েম ভাবে চুমু দিয়ে বলে- এইবার আরাম হয়েছে?


আমি বলি- না! আরাম না আগুন ধরেছে।


দীপা হাসি দিয়ে বলে- হ্যাঁ! আগুন যে ধরেছে সেটা আমি বুঝতে পারছি! কেউ একজন রাগ করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে!


আমি বলি- বুজতেই যেহেতু পারছিস তাহলে এইবার ছেড়ে দিলেই তো হয়, আমি বেঁচে যাই আর এই বেচারাও বাঁচুক!


দীপা শয়তান একটা! সে নিজের এক হাত নিয়ে প্যান্টের উপর দিয়ে আমার সোনায় চাপ দেয় আর বলে- লাফাতে দাও! কষ্ট পাক! শা*লা নিজের বোনও বোঝে না লাফায়, আর মালিক বেচারা অসহায়।


আমি সত্যিই অসহায়! আর সহ্য হচ্ছে না তাই আমি অনুরোধ করেই দীপাকে বলি- প্লিজ আমাকে যেতে দে দীপা, আমার কষ্ট হচ্ছে খুব।


দীপা আবার আমার ঠোঁটে কিস করে নিজের জিহব্বা ঢুকিয়ে দেয় আমার মুখে আর কিছুক্ষন চুষে বলে- কষ্ট কি আমার হচ্ছে না? যাও রুমে যাও! রুমে গিয়ে ওটার টেইক কেয়ার করো!


আমি দীপাকে আর একটা চুমু দিয়ে ছেড়ে দেই। দীপা আমার দিকে চেয়ে থাকে হা করে। আমি আর দেরি না করে আমার রুমে গিয়ে সব কাপড় খুলে শুধু একটা টাওয়েল নিয়ে রুমের লাইট অফ করে বিছানায় শুয়ে পড়ি।


চলবে.......................📢


#পারিবারিক #চটি #গল্প

#রোমান্টিক #chotigolpo ♥️

Post a Comment

Previous Post Next Post